Headlines News :

বেড়েই চলেছে গৃহকর্মী নির্যাতন

Written By Unknown on Tuesday, December 10, 2013 | 5:47 AM

গৃহকর্মীদের ওপর নিষ্ঠুর নির্যাতন দিন দিন উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে রাজধানীতে গৃহকর্মীর উপর নীপিড়ন-নির্যাতন আশংকাজনক হারে বাড়ছে। বাড়ছে নির্যাতনের মাত্রা,নৃশংসতা ও নির্যাতনে অপমৃত্যুর ঘটনাও। গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র চার মাসেই রাজধানীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে শতাধিক গৃহকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহকর্মীদের শরীরে আগুনের ছেঁকা দেয়ার ক্ষতের চিহ্ন পত্র-পত্রিকায় প্রায়ই দৃষ্টিগোচর হয়। যারা এভাবে পেটে ভাতে মানুষের বাসায় কাজ করতে আসে তারা দরিদ্র, অশিক্ষিত। অশিক্ষিত বলে অনেক কিছুর ভালমন্দ বুঝে উঠতে পারেনা। আর একারণেই মানুষের বাসায় কাজ কর
তে এসে নানা অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়। বলা বাহুল্য, এসব গৃহকর্মীর বেশির ভাগই অভাব-তাড়িত হয়ে গ্রাম থেকে রাজধানীতে আসে দুবেলা-দুমুঠো খাবারের সন্ধানে। এইসব গৃহকর্মীরা ঢাকায় এসে অচেনা-অপরিচিত পরিবেশে নির্যাতনের অভিযোগ কোথায় কীভাবে করতে হতে তা জানেন না। একারণে নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ খোলা থাকে না। তাই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব নির্যাতনের খবর রয়ে যায় লোকচুক্ষর আড়ালে। তাদের এই অসহায়ত্বের সুযোগ পেয়ে রাজধানীর উঁচু তলার মানুষেরা তাদের উপর অকথ্য নির্যাতন করে থাকেন।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাসত্মবায়ন সংস্থায় জরিপে বলা হয়েছে, ২০১০ সালে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যায় ৪৫ গৃহকর্মী। আহত হয়েছে প্রায় ৩৪ জন। চলতি ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে মধ্য সেপ্টেম্বর নাগাদ ২৭ গৃহকর্মীর মৃতু্য ঘটেছে। আহত হয়েছে ৩১ জন। ২০১২ সালের আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী ১২০ জন গৃহকর্মী মেয়েশিশু নির্যাতনের শিকার। তন্মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭ জন। হত্যা করা হয়েছে ১৭ জনকে যাদের বয়স ১৩ থেকে ১৮ শারীরিক নির্যাতনের শিকার ৪৬ জন। শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে ৩ জনকে যাদের বয়স ৭ থেকে ১২ বছর। আত্মহত্যা করেছে ২০ জন। শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে ১ জনকে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে ১ জন। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাসত্মবায়ন সংস্থাটি মাসওয়ারি মৃত্যু ও আহত হওয়ার পরিসংখ্যানও বের করেছে। জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৩ জন গৃহকর্মীর মৃতু্য হয়েছে নির্যাতনের কারণে। আহত হয়েছে ১ জন। ফেব্রম্নয়ারিতে ৬ জন গৃহকর্মীর মৃতু্য হয়েছে। আহতদের সংখ্যা ৪ জন। মার্চ মাসে নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ২ ও ৫ জন। এপ্রিল মাসে ৫ জন গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ৬ জন গৃহকর্মী। মে মাসে নিহত ও আহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৩ জন এবং ২ জন। জুনে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে ১ জন। আর আহত হয়েছে ৩ জন। জুলাই মাসে নির্যাতনের কারণে আহত ও নিহত হয়েছে যথাক্রমে ৩ জন এবং ২ জন। আগস্ট মাসে নিহত ও আহতের সংখ্যা ২ জন এবং ৭ জন। সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছে ২ জন গৃহকর্মী। আর আত্মহত্যা করেছে একজন। অনেকে এটাও বলছেন, গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রী বা তাদের লোকদের অত্যাচারে আরও বেশি গৃহকর্মীর মৃত্যু ও আহত হতে পারে। কারণ এ ধরনের সব খবর নানা কারণে সব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছেনা। বাংলাদেশ চাইল্ড রাইটস ফাউন্ডেশনের একটি সূত্রে বলা হয়েছে, রাজধানীতে গৃহকর্মীর সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। এদের মধ্যে পাঁচ থেকে ১৫ বছর বয়সী মেয়েদের সংখ্যা বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গৃহকর্মীদের এমন পরিণতির আরেক কারণ আইনী সুরক্ষার অভাব। তাদের জন্য নেই কোন শ্রম আইন, নেই মজুরি গেজেট ও আচরণবিধি। এ জন্য নিশ্চিত করতে হবে জাতীয় নীতিমালাও ও ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠন। তাদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে দৈনিক বিশ্রাম, সাপ্তাহিক ছুটি ইত্যাদি। পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিৰা ও বিনোদনের সুযোগও নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ বলেছে, শতকরা প্রায় ৬৭ ভাগ গৃহকর্মী শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। চিত্ত বিনোদনের সুযোগ পায় না প্রায় ৫৩ ভাগ গৃহকর্মী। কাজের সময় তিরস্কার বা বকাঝকার শিকার হয় প্রায় ৮৩ শতাংশ। প্রতিনিয়ত কাজ থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দেয়া হয় প্রায় ৪৭ শতাংশ গৃহকর্মীকে। সামর্থ্যের অতিরিক্ত কাজ করে প্রায় ৬৪ শতাংশ। যৌন নিপীড়নের শিকার হয় প্রায় ১৭ শতাংশ গৃহকর্মী। নিরাপত্তাহীনতা ও মানসিক হতাশায় ভোগে যথাক্রমে প্রায় ৪০ শতাংশ এবং ৬৮ শতাংশ। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের একটি সূত্রে বলা হয়েছে, গৃহকর্মীরা নির্যাতনের শিকার হয় পশ্চাৎপদ সমাজ ব্যবস্থা ও পুরম্নষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে। দরিদ্রতাও একটি বড় কারণ। জানা গেছে, গৃহকর্মীদের জন্য চলছে একটি নীতিমালা তৈরির প্রক্রিয়া। সেখানে অন্তরভুক্ত করা হয়েছে তাদের মজুরি ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ অন্যান্য বিষয়।
তবে এটাও ঠিক যে অনেক গৃহকর্তা-গৃহকর্ত্রী তাদের গৃহকর্মীদের সাথে নম্র ব্যবহার করে এবং তাদের দেখভাল করে সযত্নে। অনেকে গৃহকর্মীর পরিবারের খোঁজ খবর নেন এবং ভাল বিয়েও দেন। তবে এই শ্রেণীর মানুষের সংখ্যা হাতে গোনা। অথচ এটা খুবই স্বাভাবিক যে কাউকে গৃহকর্মী হিসেবে কাজে লাগালে তার প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যের বিষয় এমনিতেই চলে আসে। এসব যেমন আমাদের মেনে চলা উচিত তেমনি তাদের প্রতি খারাপ আচরণ বা নির্যাতন করার কোন অধিকার আমাদের নেই এবং তা দণ্ডনীয় অপরাধও বটে। হোক না সে গৃহকর্মী তার প্রতি নিশ্চয়ই ভালো আচরণ করা উচিত। তারাও মানুষ, আর তাই তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করা আমাদের মনুষ্যত্বেরই বহিঃপ্রকাশ।আমাদের মনন মানসিকতায় যদি আমরা উন্নত না হই, প্রতিটি মানুষকে মানুষ হিসাবে মূল্যায়িত না করে- সে গৃহকর্মী, আমি মালিক এই ধরণের মানসিকতা পরিহার করতে না পারি তাহলে আমরা মানুষ হই কিভাবে? মনুষ্যত্ববোধ থাকলে তবেই না তাকে মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়। নির্যাতিত হয়ে অনেক গৃহকর্মী নিজের অজানত্মেই খারাপের দিকে পা বাড়াতে পারে। অতএব, এমন পরিবেশ-পরিস্থিতি সৃষ্টি করা উচিত নয় যাতে তারা খারাপ বা অন্ধকার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়। কেননা এসবের প্রভাব পড়ে পরিবার ও সমাজের ওপরও। তাদের সঙ্গে সবার এমন আচরণ করা উচিত। এতে গৃহকর্মীরা ভাল কিছু শিখবে।আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, গৃহকর্মীরা আমাদের সমাজেরই। তাদের প্রতি আমাদের সদয় আচরণ করা উচিত

অনাকাঙ্ক্ষিত লোম রোধে চা

অনাকাঙ্ক্ষিত লোম রোধে চা

রূপচর্চা: পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় পানীয়ের নাম চা। উপযুক্ত পরিমাণে এককাপ চা আপনার সারাদিনের ক্লান্তিভাব দূর করে সতেজভাব এনে দিতে পারে। চা পানে শারীর ও মন হয়ে ওঠে চনমনে চাঙ্গা। তাই অনেকেই কাপের পর কাপ চা পান করে দূর করে দিতে চায় নিজের অলসতাকে।
রূপচর্চা
তবে চাযে শুধু শারীর ও মনকে চাঙ্গা করে তা কিন্তু নয়। এটা অনেক রোগ এর উপসমও করে। বিভিন্ন প্রজাতির চায়ের আছে বিভিন্ন গুন। তুরস্কের গবেষকরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে, নারীরা দিনে দু’বার এক বিশেষ চাপান করলে, তাদের শরীরের অবাঞ্ছিত লোম বাড়তে পারেনা। সুগন্ধিযুক্ত এ চায়ের নাম স্পিয়ারমিন্টচা। এ চা সাধারনত ইউরোপ এবং এশিয়ায় উৎপন্ন হয়। অনেক নারীর হাতে পায়ে কিংবা ঠোঁট এর ওপরে একটু গাঢ় গোঁফের রেখা দেখা যায়। এটা তাদের জন্য বিব্রত কর। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে নারীদের শরীরে এমন লোম গজাতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে  পলিসিসটিক ও ওভারিসিনড্রমের কারনেও লোম বাড়তে পারে। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেক নারীই কিছু পুরুষ হরমোন বহন করে। এ হরমোন স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি হলেই বাড়তে পারে লোম। গবেষকদের মতে, স্পিয়ারমিন্ট চায়ের নির্যাস বাড়িয়ে দেয় মানুষের কর্মদ্দীপনা।
নারীদের ওপর স্পিয়ারমিন্ট চায়ের প্রভাব দেখার জন্য একুশ জন নারীর ওপর একটি গবেষণা চালানো হয়। এসময় মাসের কিছু বিশেষ দিনে দু’বার করে তাদের স্পিয়ারমিন্ট সমৃদ্ধ চা পান করতে দেয়া হয়। গবেষকরা বিস্ময়করভাবে লক্ষ্যকরেন, নারীদেরর ক্তেটেস্টোস্টেরনের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ফলিকস্টিমুলেটিং হরমোনের পরিমাণ। তবুও  টেস্টোস্টেরনের পর্যায়ে তেমন কোন পরিবর্তন অবশ্য হয়নি।আর ফলাফল যাহয়েছে তা হল তাদের শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের আধিক্য কমে গেছে অনেকাংশে।
গবেষকরা বলেন,স্পিয়ারমিন্ট হরমোনের রাসায়নিক রূপান্তর ঘটায়। গবেষক দলের প্রধান প্রফেসর ন্যুম্যান তামেম বলেন, স্পিয়ারমিন্ট নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। এটি একটি ভালো প্রকৃতির ওষুধ হতে পারে। যেসব নারী অনাকাঙ্ক্ষিত লোম সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য এটি

বগলের কালো দাগ অপসারণ

বগলের কালো দাগ অপসারণ

বগলে কালো দাগ কোন রোগ নয়। শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় বগলের চামড়া কিছুটা কালো হয়ে যায়, এটা কোন মেডিকেল অবস্থাও না। আবার অনেক মায়েদের গর্ভকালীন সময়ে বগলে কালো ছোপ পরে।
রূপচর্চা
বগলে কালো দাগের কারণ হতে পারে কিছু কিছু চুল অপসারণ ক্রিম নিয়মিত ব্যবহারে, অত্যধিক ঘামে, বগলে খুব কম পরিমাণে বায়ু চলাচলে, মৃত কোষ জমে, এলকোহল সমৃদ্ধ ডিওডরেন্ট ব্যবহারে, অত্যধিক ধূমপান, এবং স্থূলতা বা ডায়াবেটিস মত স্বাস্থ্য সমস্যায়।
তবে এসব থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায় কোন চিন্তা ছাড়াই। এই প্রতিকার কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই খুব নিরাপদ, কার্যকর, প্রাকৃতিক এবং সাশ্রয়ী মূল্যের হবে ।
১. আলু
আলু হতে পারে বগলের কালো দাগ দূর করার সহজ উপায়। আলুর রস বগলে প্রয়োগ করে ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে। এতে শীঘ্রই কালো ত্বকের রঙ হালকা হবে। ভাল এবং দ্রুত ফলাফলের জন্য একই পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি করতে হবে।
২. শসা
আলুর মত শসাতেও প্রাকৃতিক সাবানের  বৈশিষ্ট্য আছে। সসার রস বগলের কালো অংশে দিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে ধুতে হবে। ভাল ফল পাওয়ার জন্য সসার সাথে হলুদ বাটা ও লেবুর রস মিশিয়ে নেয়া যেতে পারে। তবে কালো দাগ দূর করতে প্রতিদিন ব্যাবহার করতে হবে।
৩. বেকিং সোডা
বেকিং সোডা সামান্য পানির সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটা বগলে মাখতে হবে। বেকিং সোডা বগলের ত্বকের মৃত কোষ  অপসারণের জন্য সাহায্য করবে। তাছাড়াও  এটি ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্র মুক্ত করতে সাহায্য করবে।
৪. নারকেল তেল
নারকেল তেল কালো বগল থেকে পরিত্রাণ পেতে আরেকটি ভাল বিকল্প। নারকেল তেল দিয়ে কালো বগল ১০ থেকে ১৫ মিনিট  দৈনিক ম্যাসেজ করে সাবান ও হালকা গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। একই সময়ে, নারকেল তেল একটি কার্যকর প্রাকৃতিক ডিওডরেন্ট হিসেবে কাজ করবে।

ধরে রাখুন নিজের স্মরণশক্তি

ধরে রাখুন নিজের স্মরণশক্তি

আমরা যখন ৩৫-৪০ বয়সের দ্বারে চলে আসি আমরা প্রায়ই অনুভব করি আমাদের স্মরণশক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে। কখনও চাবি কোথায় রেখেছি, অথবা
স্বাস্থ্য সচেতনতা
পরিচিত কেউ যাকে অনেক দিন পর দেখলাম তার নাম হঠাৎ করে যেন মনে করতে পারি না। সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততায় আমরা যেহেতু নিজেদের নিয়ে ভাবার ঠিক সময়টা করে উঠতে পারি না, তাই এসব পরিবর্তন অনেক সময়ই আমরা অহেতুক ভাবনা বলে পাশ কাটিয়ে যাই। কিন্তু এভাবে ক্রমশই আমরা হারিয়ে ফেলছি আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষমতা।
এজন্য প্রায়ই আমাদের অপ্রস্তুত হতে হয় অনেকের সামনে। আর এর প্রভাব পরে আমাদের মনে, কাজকর্মে, চিন্তাভাবনায়, এমনকি আমাদের সংসার জীবনেও। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না প্রতহ একটু মস্তিষ্কের অনুশীলন করলেই আমরা আমদের আগের অবস্থায় যেতে পারি, আর যাদের এখনও স্মরণশক্তি আগের মতই আছে তাদের স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পাবে প্রতহ অনুশীলনের মাধ্যমে।
কীভাবে মস্তিষ্কের অনুশীলন করবেন? খুবই সহজ একটা কাজ। বিভিন্ন পত্রিকার সু-ডু-কু, কম্পিউটারে গেম, অনলাইনে এ I.Q. ( Intelligence Quotient) টেস্ট এ অংশগ্রহণ এর মাধ্যমেই আপনার মস্তিষ্কের অনুশীলন হবে। নিজের জন্যে কিছু সময় বের করে দৈনিক অনুশীলন করুন। কারণ আপনার মস্তিষ্ক সুস্থ থাকলেই আপনি সচেতন ভাবে নিজের কর্ম জীবন, সংসার জীবন দুই এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।

গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা

গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা

গর্ভের শিশুর শারীরিক ও মানসিক পরিপূর্ণ বিকাশের পূর্বশর্ত হচ্ছে মায়ের সুস্থতা সুনিশ্চিতকরণ। এ জন্য একজন নারীকে নিজেই যেমন হতে হয় স্বাস্থ্য সম্পর্কেসচেতন, তেমিন গর্ভবতী মায়েদের প্রতি যত্নশীল হতে হয় পরিবারের সবার। মাকে গর্ভকাল থেকেই থাকতে হবে হাসিখুশি ও দুশ্চিন্তামুক্ত। গর্ভবতী মাকে নিয়মিত ঘুম ও পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। সর্বোপরি সুস্থ শিশু লাভের জন্য গর্ভবতী মায়ের পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা প্রয়োজন।গর্ভবতী মায়ের পরিচর্যা ‘গর্ভস্থ সন্তান ও মা’ উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
স্বাস্থ্য সচেতনতা
গর্ভাবস্থায় কিছু স্বাভাবিক সমস্যা যেমন অরুচি ও বমি বমি ভাব হতেই পারে। তাই যা খেতে ভালোলাগে তাই খাবেন। তবে খুব বেশি ডাল, দুধ ইত্যাদ না খাওয়াই ভালো। এ সময় বুকজ্বালা ও বদহজম একটা স্বাভাবিক লক্ষন তাই হালকা সহজপাচ্য অথচ পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে পানীয় ও টাটকা ফল, বেল, কলা, পেয়ারা, দুধ-ভাত-কলা বা দুধ-আটার রুটি ইসুবগুলের ভূষি খাওয়া যায় এতে কোষ্ঠকাঠিন্য রোধহয়। এ সময় কোমর ব্যথার জন্য শাক, ছোট মাছ, দুধ, ডিম, মাখন অর্থাৎ ভিটামিন ডি ওক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং বুক ধড়ফড়, শ্বাসকষ্ট, চুলকানি, মাড়িস্ফীতি ও রক্তক্ষরণ, পাইলস ও পায়ের শিরাস্ফীতি হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।এসময় উদ্ভিজ্য চর্বির চাহিদাপূরণে ভোজ্যতৈল, সয়াবিন, সরিষা বাদাম ইত্যাদি আমিষ জাতীয় খাবার এবং দুধ, পনির, কম চর্বিযুক্ত ইয়োগট, এককাপ ক্যালসিয়ামযুক্ত অরেঞ্জজুস বা সয়দুধ খেয়ে ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাতে পারেন। আয়রন ও ফলিক এসিড কাঁচাকলা, কচুশাক, অন্যান্য ঘন সবুজ ও লালশাক, মাছ, মাংস ও ডিমে রয়েছে। ভিটামিনের জন্য প্রচুর শাকসবজি, টক, মিষ্টিফল, জুস খেতেহবে। পানি গর্ভস্থশিশুর, পুষ্টির সরবরাহ সঠিক রাখতে এবং শরীর থেকে বর্জ্যপদার্থসমূহ নিষ্কাষণে সহায়ক। তাই গর্ভবতীকে প্রতিদিন ১৫-২০গ্লাস পানি পান করতে হবে। শর্করা  অধিক খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যায় তাই আঁশযুক্ত শর্করা যেমন ঢেঁকিছাঁটা চালের ভাত, গমের রুটি ইত্যাদি খাওয়া উচিত। মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য প্রাকৃতিকনির্মল পরিবেশে হাঁটা, চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থাকরা, অনৈতিক কোনো ভাবনা মনের মধ্যে না আনা, এছাড়াও ধূমপায়ীদের থেকে দূরে থাকা, ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে আসা উচিত নয়।

ব্যাংকিং সেক্টরে নারী

ব্যাংকিং সেক্টরে নারী

আপনি যদি মনেকরে থাকেন নারীদের গাণিতিক এবং অর্থনৈতিক দক্ষতা সীমিত এবং তাদের ক্ষমতা শুধুমাত্র ঘরের কাজ পরিচালনা এবং সন্তান সন্ততি পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, তবে পুনরায় ভাবুন। সারা বিশ্বের নারীরা বর্তমানে স্মার্ট এবং আকর্ষণীয় পেশায় যোগদান করছে এবং সফলতা অর্জন করছে। এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যই থাকে শিক্ষা জীবন শেষ করে একটি গ্রহণযোগ্য সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়া। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এরকম একটি সেক্টর হলো ব্যাংকিং। কারণ বেড়েছে অর্থ বাজারের প্রসার। বদলে গিয়েছে প্রযুক্তিও। তবে ঝকঝকে ব্যক্তিত্বের কর্মীদের ব্যক্তিগত দক্ষতার ওপর এখনও নির্ভর করে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। আর এই ব্যাংকিং সেক্টরে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণ লক্ষণীয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে বেশ কয়েক বছর ধরে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বেশ কিছু স্বনামধন্য সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক এর ঊর্ধ্বতন পোস্ট এ নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে আসছে। বাংলাদেশেও ব্যাংকিং এর বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারীদের অর্জন গর্ব করার মত।
নারীর পেশা

বেশ কিছু ইউরপিয়ান এবং এশিয়ান রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় বিয়ের পূর্বে নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা উপভোগ করে। কিন্তু বিয়ের পর নারীরা তাদের স্বামীর তরফ হতে পূর্ণ স্বাধীনতা পায় না। পাকিস্তানে বিয়ের পর নারীদের ঘরের বাইরে কাজে যোগ দেয়া অথবা চাকরি করার অনুমতি দেওয়া হয়না। কারণ পাকিস্তানের সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী নারীরা শুধুমাত্র তখনই চাকরি করবে যখন তাদের স্বামী বেকার অথবা কাজ করতে অক্ষম হবে। অন্যথায় ঘরের বাইরে কাজ করাকে নারীদের নিজেদের নৈতিক অবক্ষয় বলেই মনে করা হয়। সুতরাং এ সকল দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নারীদের অবস্থা বেশ ভালো। কিন্তু আমারা বাংলাদেশের নারীরা আমাদের নিজেদের দক্ষতা এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতন নই।
ব্যাংকে চাকরির জন্য চাই বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার ওপর কিছুটা দখল এবং যোগাযোগ করার ক্ষমতা। কিন্তু নবযুগের ব্যাংকারদের ক্ষেত্রে  কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রোগ্রামিং জানতে হবে তার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সাধারন কম্পিউটার জ্ঞান থাকা জরুরী। নব্য ব্যাংকের কর্মীর দিকে তাকালে আরও একটা বিষয় স্পষ্ট হয়। তা হলো দ্রুত কাজ চাই, চাই দক্ষ কর্মী। উচ্চশিক্ষা, তারুণ্য, মানসিক শক্তি এবং ব্যক্তিত্ব এসবের সম্মিলনই হচ্ছে একজন যোগ্য ব্যাংক কর্মীর সাফল্যের মূল এবং ব্যাংকের সম্পদ।

বিশ্বকবির সৃষ্টিতে নারী

বিশ্বকবির সৃষ্টিতে নারী

রাবীন্দ্রনাথ যেখানে কবি সেখানে তাঁর কাছে নারীর প্রধান পরিচয় সে প্রেমময়ী। যদিও সে প্রেমময়ী সত্তার সাথে কোথাও একজন অবগুণ্ঠনবতী, রহস্যময়ীও লুকিয়ে আছে। আর পুরুষকে আকৃষ্ট, আবিষ্ট করার মধ্যেই যেন তার নারীজন্মের সার্থকতা। জীবনের প্রায় শেষপর্বে লেখা কবিতা সানাই(১৯৪০) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘নারী’ কবিতায় ও লিখেছেন –
‘স্বাতন্ত্র্যস্পর্ধায় মত্ত পুরুষেরে করিবারে বশ/ যে-আনন্দরস/ রূপ ধরেছিল রমণীতে,/ ধরণীর ধমনীতে/ তুলেছিল চাঞ্চল্যের দোল/ রক্তিম হিল্লোল,/ সেই আদি ধ্যানমূর্তিটিরে/ সন্ধান করিতেছে ফিরে ফিরে/ রূপকার মনে মনে/ বিধাতার তপস্যার সংগোপনে।’
‘আকাশপ্রদীপ’ (১৯৩৯) কাব্যগ্রন্থের তর্ক কবিতায়ও পুরুষের মুখ দিয়ে নারীর বন্দনা উচ্চারিত হয়েছে এভাবেঃ
‘নারীকে দিবেন বিধি পুরুষের অন্তরে মিলায়ে/ সেই অভিপ্রায়ে/ রচিলেন সূক্ষ্ম শিল্পকারুময়ী কায়া__/ তারি সঙ্গে মিলালেন অঙ্গের অতীত কোন মায়া/ যারে নাহি যায় ধরা/ যাহা শুধু জাদুমন্ত্রে ভরা,/ যাহারে অন্তরতম হৃদয়ের অদৃশ্য আলোকে/ দেখা দেয় ধ্যানাবিষ্ট চোখে,/ ছন্দজালে বাধে যার ছবি/ না পাওয়া বেদনা দিয়ে কবি।’ অর্থাৎ নারী যে সৌন্দর্যময়ী, অপরুপা, তা কতকটা পুরুষ তাকে সেভাবে কল্পনা করে বলেই।
প্রায় তরুণ বয়সে লেখা চৈতালি(১৮৯৬) কাব্যগ্রন্থের নারী শীর্ষক কবিতায়ও নারীকে ‘মানসীরূপিণী’ বলে উল্লেখ করে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘তুমি এ মনের সৃষ্টি, তাই মনোমাঝে/ এমন সহজে তব প্রতিমা বিরাজে।’ একই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত মানসী(১৮৫৯) কবিতায় রয়েছে সেই বিখ্যাত পংতিনিচয়ঃ
‘শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী/ পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারী/ আপন অন্তর হতে…অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা।’
মোট কথা পুরুষতন্ত্রই এখানে নিয়ামক। আবার কনিকা(১৮৯৯) কাব্যের ‘সৌন্দর্যের সংযম’ কবিতাটিতে নারীর অবরুদ্ধ, শৃঙ্খলিত জীবনকেই মহিমান্বিত করা হয়েছে এভাবে –
নর কহে, বীর মোরা যাহা ইচ্ছা করি।
নারী কহে জিহ্বা কাতি, শুনে লাজে মরি!
পদে পদে বাঁধা তব, কহে তারে নর।
কবি কহে, তাই নারী হয়েছে সুন্দর।

রঙিন চুলের যত্ন

অধিকাংশ মহিলাদের চুলপড়া সমস্যা সারা বছর লেগেই থাকে। মাথা ভর্তি কালো, লম্বা বেনি আর রেশমি কালো চুল এখন সহজে দেখতে পাওয়া যায় না। কালো চুলের জায়গায় শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রঙের চুল। আর এ কারণে নানা সমস্যাও তৈরি হচ্ছে। শুধু চুল রঙ করলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। এ রঙ ধরে রাখতে প্রয়োজন চুলের বিশেষ যত্ন। সারা দিনের ব্যস্ততায় শরীরের সাথে মাথার ত্বকও ঘামে ভিজে যায় এবং তাতে জমতে থাকে ময়লা। এতে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায় এবং চুল উঠতে শুরু করে। চুল পড়া সমস্যা তাদের ক্ষেত্রে আরও বেশি যাদের চুল রঙ করা। তাই রঙ করা চুলের চাই নিয়মিত বাড়তি যত্ন।

যদি আপনি প্রথমবার চুলে রঙ করেন, তাহলে পেছনের দিকে ঘাড়ের অংশের কিছু চুল নিয়ে তাতে রঙ ব্যবহার করে দেখুন। চুলের গোড়ার দিকের অংশে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি রঙ নষ্ট হয়ে যায়, তাই রঙের মধ্যে ডেভেলপার না মিশিয়ে বেশ খানিকটা গাঢ় রঙ লাগিয়ে নিন। রঙের মধ্যে খানিকটা গোল্ড এবং ইয়ালো এসেন্ট মিশিয়ে নিন। এতে চুলে হাইলাইটিং ইফেক্ট ভালো আসে। যদি আপনি রোজ বাইরে বের হন বা নিয়মিত সাঁতার কাটেন, তাহলে আপনার চুলের রঙ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। এর থেকে বাঁচতে চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন, যা সূর্যের তাপ আর পানি থেকে আপনার চুল রক্ষা করবে। কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন শুধুমাত্র চুলে। চুলের গোড়ায় যাতে কন্ডিশনার না পৌছায় সে ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে। সাঁতার কাটলে যাদের চুলের রঙ ব্লান্ড বা ব্লু বেস, তাদের ক্ষেত্রে রঙ কিছুটা গ্রিনিশ হয়ে যায়। এছাড়া গোল্ড বেস ভায়োলেট লুক দেয়, যা দেখতে ভালো লাগে। নতুন করে রঙ করার আগে চুলে যে রঙ করা ছিল তা রিমুভার এর সাহায্যে তুলে ফেলুন। পাকা চুলের ক্ষেত্রে আপনি যেকোনো রঙ ব্যবহার করতে পারেন। চুল রঙ করার সময় খেয়াল রাখবেন চুল যাতে সম্পূর্ণ শুকনো থাকে, কারণ ভেজা চুলে রঙ আসতে দেরি হয়।  

সাজিয়ে তুলুন নিজেকে

প্রসাধনী কম-বেশি সবাই ব্যবহার করেন। কিন্তু অনেকেই জানেন না কোন প্রসাধনী কখন কীভাবে ব্যবহার করতে হয়। বাজারে বিভিন্ন ধরণের, অসংখ্য প্রোডাক্ট এর প্রসাধনী পাওয়া যায়। সঠিক ব্যবহার জানা থাকলে আপনি নিজেই টিপ টপ সাজিয়ে নিতে পারেন নিজেকে, বাড়াতে পারেন নিজের সৌন্দর্য।
এসব প্রসাধনী যেভাবে ব্যবহার করবেন-
• ক্লিনজারঃ ক্লিনজার ত্বক পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করা হয়। ক্লিনজার সাধারণত মিল্ক, লোশন ক্রিম এই তিন ধরনের ফরম্যাটে পাওয়া যায়। ক্লিনজার হাতে নিয়ে মুখে ম্যাসাজ করে মুছে বা ধুয়ে ফেলুন।
• টোনারঃ মুখের অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব দূর করার জন্য টোনার ব্যবহৃত হয়। টোনারে টিস্যু বা সামান্য তুলা ভিজিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। পাঁচ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
• ফাউন্ডেশনঃ টোনার লাগানোর কিছুক্ষণ পর আঙুল দিয়ে গালে, কপালে ও নাকের পাশে ফোঁটা ফোঁটা লাগিয়ে ভালোভাবে ঘষে মুখে মিশিয়ে নিন। এসময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পুরো মুখে একই রকম শেড বজায় থাকে।
• কনসিলারঃ ত্বকে কোন দাগ থাকলে টা ঢাকার জন্য কনসিলার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কেনার সময় নিজের ত্বকের রঙের সাথে মিলিয়ে কিনুন। আঙুলের মাথায় এক ফোঁটা নিয়ে দাগের ওপর লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ত্বকের সাথে মিশিয়ে দিন।
• ফেস পাউডার বা কম্প্যাক্ট পাউডারঃ ফেস পাউডার বা কম্প্যাক্ট পাউডার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। পাফে পাউডার নিয়ে মুখে আলতো করে লাগাতে হবে। এরপর পাফ দিয়েই ম্যাসাজ করে ত্বকের সাথে মিশিয়ে দিন।
• আইব্রো পেনসিলঃ এটি ভ্রূর আকার শার্প করে এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়। পেনসিল দিয়ে ভ্রূতে ছোট ছোট হালকা দাগ কেটে শেপ তৈরি করতে হবে।
• আইশ্যাডোঃ আইশ্যাডো ব্রাশের সাহায্যে চোখের পাতায় একটু গাঢ় করে এবং ভ্রূর নিচে হালকা করে লাগাবেন। লক্ষ রাখবেন শ্যাডো যেন চোখের পাতার বেশি বাইরে না ছড়ায়। আইশ্যাডো পোশাকের সাথে মানানসই হওয়া বাঞ্ছনীয়।
• আইলাইনারঃ চোখকে আকর্ষণীয় করে। চোখের পাতার ওপর পাপড়ির কোল ঘেঁষে সরু বা মোটা করে রেখা টানুন। আবার চোখের কোলের বাইরে পর্যন্ত টেনে দিন। এতে চোখ বড় দেখাবে।
• মাশকারাঃ মাশকারা চোখের পাপড়িতে লাগানো হয়। এতে চোখের পাপড়ি ঘন ও বড় দেখায়। মাশকারা একবার লাগানোর পর তা শুকালে আরেকবার লাগান। এতে পাপড়িগুলো একটার সাথে আরেকটা লেগে যাবে না।
• লিপস্টিকঃ লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটে হালকা ভেসলিন লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁট সতেজ হবে এবং লিপস্টিক সমানভাবে ঠোঁটে বসবে। গাঢ় রঙের লিপস্টিক লাগালে টিস্যু পেপার হালকা করে ঠোঁটের ওপর চেপে ধরুন। গ্লসি ভাব কেটে যাবে। ঠোঁটের আসল রঙ ঠিক রাখতে লিপ গ্লস ব্যবহার করা হয়। এটি তরল, তাই ঝাঁকিয়ে ব্যবহার করুন। লাগানোর সময় খেয়াল করুন যেন ঠোঁটের চারপাশে না ছড়ায়।

World News

Powered by Blogger.
 
Support : Creating Website | Johny Template | Maskolis | Johny Portal | Johny Magazine | Johny News | Johny Demosite
Copyright © 2011. woman bd - All Rights Reserved
Template Modify by Creating Website Inspired Wordpress Hack
Proudly powered by Free Coupons | Distributed by Way2 Blogger Templates