অনাকাঙ্ক্ষিত লোম রোধে চা
রূপচর্চা: পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় পানীয়ের নাম চা। উপযুক্ত পরিমাণে এককাপ চা আপনার সারাদিনের ক্লান্তিভাব দূর করে সতেজভাব এনে দিতে পারে। চা পানে শারীর ও মন হয়ে ওঠে চনমনে চাঙ্গা। তাই অনেকেই কাপের পর কাপ চা পান করে দূর করে দিতে চায় নিজের অলসতাকে।
তবে চাযে শুধু শারীর ও মনকে চাঙ্গা করে তা কিন্তু নয়। এটা অনেক রোগ এর উপসমও করে। বিভিন্ন প্রজাতির চায়ের আছে বিভিন্ন গুন। তুরস্কের গবেষকরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছেন যে, নারীরা দিনে দু’বার এক বিশেষ চাপান করলে, তাদের শরীরের অবাঞ্ছিত লোম বাড়তে পারেনা। সুগন্ধিযুক্ত এ চায়ের নাম স্পিয়ারমিন্টচা। এ চা সাধারনত ইউরোপ এবং এশিয়ায় উৎপন্ন হয়। অনেক নারীর হাতে পায়ে কিংবা ঠোঁট এর ওপরে একটু গাঢ় গোঁফের রেখা দেখা যায়। এটা তাদের জন্য বিব্রত কর। অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার কারণে নারীদের শরীরে এমন লোম গজাতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পলিসিসটিক ও ওভারিসিনড্রমের কারনেও লোম বাড়তে পারে। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যেক নারীই কিছু পুরুষ হরমোন বহন করে। এ হরমোন স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি হলেই বাড়তে পারে লোম। গবেষকদের মতে, স্পিয়ারমিন্ট চায়ের নির্যাস বাড়িয়ে দেয় মানুষের কর্মদ্দীপনা।
নারীদের ওপর স্পিয়ারমিন্ট চায়ের প্রভাব দেখার জন্য একুশ জন নারীর ওপর একটি গবেষণা চালানো হয়। এসময় মাসের কিছু বিশেষ দিনে দু’বার করে তাদের স্পিয়ারমিন্ট সমৃদ্ধ চা পান করতে দেয়া হয়। গবেষকরা বিস্ময়করভাবে লক্ষ্যকরেন, নারীদেরর ক্তেটেস্টোস্টেরনের পরিমাণ হ্রাস পেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে ফলিকস্টিমুলেটিং হরমোনের পরিমাণ। তবুও টেস্টোস্টেরনের পর্যায়ে তেমন কোন পরিবর্তন অবশ্য হয়নি।আর ফলাফল যাহয়েছে তা হল তাদের শরীরে অনাকাঙ্ক্ষিত লোমের আধিক্য কমে গেছে অনেকাংশে।
গবেষকরা বলেন,স্পিয়ারমিন্ট হরমোনের রাসায়নিক রূপান্তর ঘটায়। গবেষক দলের প্রধান প্রফেসর ন্যুম্যান তামেম বলেন, স্পিয়ারমিন্ট নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন। এটি একটি ভালো প্রকৃতির ওষুধ হতে পারে। যেসব নারী অনাকাঙ্ক্ষিত লোম সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য এটি
0 comments:
Post a Comment