বিশ্বকবির সৃষ্টিতে নারী
রাবীন্দ্রনাথ যেখানে কবি সেখানে তাঁর কাছে নারীর প্রধান পরিচয় সে প্রেমময়ী। যদিও সে প্রেমময়ী সত্তার সাথে কোথাও একজন অবগুণ্ঠনবতী, রহস্যময়ীও লুকিয়ে আছে। আর পুরুষকে আকৃষ্ট, আবিষ্ট করার মধ্যেই যেন তার নারীজন্মের সার্থকতা। জীবনের প্রায় শেষপর্বে লেখা কবিতা সানাই(১৯৪০) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘নারী’ কবিতায় ও লিখেছেন –
‘স্বাতন্ত্র্যস্পর্ধায় মত্ত পুরুষেরে করিবারে বশ/ যে-আনন্দরস/ রূপ ধরেছিল রমণীতে,/ ধরণীর ধমনীতে/ তুলেছিল চাঞ্চল্যের দোল/ রক্তিম হিল্লোল,/ সেই আদি ধ্যানমূর্তিটিরে/ সন্ধান করিতেছে ফিরে ফিরে/ রূপকার মনে মনে/ বিধাতার তপস্যার সংগোপনে।’
‘আকাশপ্রদীপ’ (১৯৩৯) কাব্যগ্রন্থের তর্ক কবিতায়ও পুরুষের মুখ দিয়ে নারীর বন্দনা উচ্চারিত হয়েছে এভাবেঃ
‘নারীকে দিবেন বিধি পুরুষের অন্তরে মিলায়ে/ সেই অভিপ্রায়ে/ রচিলেন সূক্ষ্ম শিল্পকারুময়ী কায়া__/ তারি সঙ্গে মিলালেন অঙ্গের অতীত কোন মায়া/ যারে নাহি যায় ধরা/ যাহা শুধু জাদুমন্ত্রে ভরা,/ যাহারে অন্তরতম হৃদয়ের অদৃশ্য আলোকে/ দেখা দেয় ধ্যানাবিষ্ট চোখে,/ ছন্দজালে বাধে যার ছবি/ না পাওয়া বেদনা দিয়ে কবি।’ অর্থাৎ নারী যে সৌন্দর্যময়ী, অপরুপা, তা কতকটা পুরুষ তাকে সেভাবে কল্পনা করে বলেই।
প্রায় তরুণ বয়সে লেখা চৈতালি(১৮৯৬) কাব্যগ্রন্থের নারী শীর্ষক কবিতায়ও নারীকে ‘মানসীরূপিণী’ বলে উল্লেখ করে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘তুমি এ মনের সৃষ্টি, তাই মনোমাঝে/ এমন সহজে তব প্রতিমা বিরাজে।’ একই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত মানসী(১৮৫৯) কবিতায় রয়েছে সেই বিখ্যাত পংতিনিচয়ঃ
‘শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী/ পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারী/ আপন অন্তর হতে…অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা।’
মোট কথা পুরুষতন্ত্রই এখানে নিয়ামক। আবার কনিকা(১৮৯৯) কাব্যের ‘সৌন্দর্যের সংযম’ কবিতাটিতে নারীর অবরুদ্ধ, শৃঙ্খলিত জীবনকেই মহিমান্বিত করা হয়েছে এভাবে –
নর কহে, বীর মোরা যাহা ইচ্ছা করি।
নারী কহে জিহ্বা কাতি, শুনে লাজে মরি!
পদে পদে বাঁধা তব, কহে তারে নর।
কবি কহে, তাই নারী হয়েছে সুন্দর।
রাবীন্দ্রনাথ যেখানে কবি সেখানে তাঁর কাছে নারীর প্রধান পরিচয় সে প্রেমময়ী। যদিও সে প্রেমময়ী সত্তার সাথে কোথাও একজন অবগুণ্ঠনবতী, রহস্যময়ীও লুকিয়ে আছে। আর পুরুষকে আকৃষ্ট, আবিষ্ট করার মধ্যেই যেন তার নারীজন্মের সার্থকতা। জীবনের প্রায় শেষপর্বে লেখা কবিতা সানাই(১৯৪০) কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ‘নারী’ কবিতায় ও লিখেছেন –
‘আকাশপ্রদীপ’ (১৯৩৯) কাব্যগ্রন্থের তর্ক কবিতায়ও পুরুষের মুখ দিয়ে নারীর বন্দনা উচ্চারিত হয়েছে এভাবেঃ
‘নারীকে দিবেন বিধি পুরুষের অন্তরে মিলায়ে/ সেই অভিপ্রায়ে/ রচিলেন সূক্ষ্ম শিল্পকারুময়ী কায়া__/ তারি সঙ্গে মিলালেন অঙ্গের অতীত কোন মায়া/ যারে নাহি যায় ধরা/ যাহা শুধু জাদুমন্ত্রে ভরা,/ যাহারে অন্তরতম হৃদয়ের অদৃশ্য আলোকে/ দেখা দেয় ধ্যানাবিষ্ট চোখে,/ ছন্দজালে বাধে যার ছবি/ না পাওয়া বেদনা দিয়ে কবি।’ অর্থাৎ নারী যে সৌন্দর্যময়ী, অপরুপা, তা কতকটা পুরুষ তাকে সেভাবে কল্পনা করে বলেই।
প্রায় তরুণ বয়সে লেখা চৈতালি(১৮৯৬) কাব্যগ্রন্থের নারী শীর্ষক কবিতায়ও নারীকে ‘মানসীরূপিণী’ বলে উল্লেখ করে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘তুমি এ মনের সৃষ্টি, তাই মনোমাঝে/ এমন সহজে তব প্রতিমা বিরাজে।’ একই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত মানসী(১৮৫৯) কবিতায় রয়েছে সেই বিখ্যাত পংতিনিচয়ঃ
‘শুধু বিধাতার সৃষ্টি নহ তুমি নারী/ পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দর্য সঞ্চারী/ আপন অন্তর হতে…অর্ধেক মানবী তুমি, অর্ধেক কল্পনা।’
মোট কথা পুরুষতন্ত্রই এখানে নিয়ামক। আবার কনিকা(১৮৯৯) কাব্যের ‘সৌন্দর্যের সংযম’ কবিতাটিতে নারীর অবরুদ্ধ, শৃঙ্খলিত জীবনকেই মহিমান্বিত করা হয়েছে এভাবে –
নর কহে, বীর মোরা যাহা ইচ্ছা করি।
নারী কহে জিহ্বা কাতি, শুনে লাজে মরি!
পদে পদে বাঁধা তব, কহে তারে নর।
কবি কহে, তাই নারী হয়েছে সুন্দর।
0 comments:
Post a Comment