ব্যাংকিং সেক্টরে নারী
আপনি যদি মনেকরে থাকেন নারীদের গাণিতিক এবং অর্থনৈতিক দক্ষতা সীমিত এবং তাদের ক্ষমতা শুধুমাত্র ঘরের কাজ পরিচালনা এবং সন্তান সন্ততি পালনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, তবে পুনরায় ভাবুন। সারা বিশ্বের নারীরা বর্তমানে স্মার্ট এবং আকর্ষণীয় পেশায় যোগদান করছে এবং সফলতা অর্জন করছে। এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যই থাকে শিক্ষা জীবন শেষ করে একটি গ্রহণযোগ্য সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়া। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এরকম একটি সেক্টর হলো ব্যাংকিং। কারণ বেড়েছে অর্থ বাজারের প্রসার। বদলে গিয়েছে প্রযুক্তিও। তবে ঝকঝকে ব্যক্তিত্বের কর্মীদের ব্যক্তিগত দক্ষতার ওপর এখনও নির্ভর করে ব্যাংকিং ব্যবস্থা। আর এই ব্যাংকিং সেক্টরে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণ লক্ষণীয়। আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে বেশ কয়েক বছর ধরে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও বেশ কিছু স্বনামধন্য সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক এর ঊর্ধ্বতন পোস্ট এ নিজেদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে আসছে। বাংলাদেশেও ব্যাংকিং এর বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারীদের অর্জন গর্ব করার মত।
বেশ কিছু ইউরপিয়ান এবং এশিয়ান রাষ্ট্রের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ায় বিয়ের পূর্বে নারীরা পূর্ণ স্বাধীনতা উপভোগ করে। কিন্তু বিয়ের পর নারীরা তাদের স্বামীর তরফ হতে পূর্ণ স্বাধীনতা পায় না। পাকিস্তানে বিয়ের পর নারীদের ঘরের বাইরে কাজে যোগ দেয়া অথবা চাকরি করার অনুমতি দেওয়া হয়না। কারণ পাকিস্তানের সমাজ ব্যবস্থা অনুযায়ী নারীরা শুধুমাত্র তখনই চাকরি করবে যখন তাদের স্বামী বেকার অথবা কাজ করতে অক্ষম হবে। অন্যথায় ঘরের বাইরে কাজ করাকে নারীদের নিজেদের নৈতিক অবক্ষয় বলেই মনে করা হয়। সুতরাং এ সকল দেশের তুলনায় বাংলাদেশের নারীদের অবস্থা বেশ ভালো। কিন্তু আমারা বাংলাদেশের নারীরা আমাদের নিজেদের দক্ষতা এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতন নই।
ব্যাংকে চাকরির জন্য চাই বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষার ওপর কিছুটা দখল এবং যোগাযোগ করার ক্ষমতা। কিন্তু নবযুগের ব্যাংকারদের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বা প্রোগ্রামিং জানতে হবে তার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে সাধারন কম্পিউটার জ্ঞান থাকা জরুরী। নব্য ব্যাংকের কর্মীর দিকে তাকালে আরও একটা বিষয় স্পষ্ট হয়। তা হলো দ্রুত কাজ চাই, চাই দক্ষ কর্মী। উচ্চশিক্ষা, তারুণ্য, মানসিক শক্তি এবং ব্যক্তিত্ব এসবের সম্মিলনই হচ্ছে একজন যোগ্য ব্যাংক কর্মীর সাফল্যের মূল এবং ব্যাংকের সম্পদ।
0 comments:
Post a Comment